আহ, ইউএফও! কল্পনাকে উড়িয়ে দিতে একটি ভালো রহস্যের মতো কিছুই নেই। ১৯৭১ সালে, মার্কিন নৌবাহিনীর সাবমেরিন USS Trepang-এর ক্রু একটি এমন সাক্ষাৎকারের সম্মুখীন হয়েছিল যা যেন একটি বিজ্ঞান কথাসাহিত্যিক চলচ্চিত্র থেকে নেওয়া।
এই অভিযানের সময় ধারণকৃত ছবিগুলো ইউএফও অনুরাগী এবং সন্দেহবাদীদের মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। প্রস্তুত হও একটি যাত্রার জন্য যা তোমাকে নতুন চোখে আকাশের দিকে তাকাতে শেখাবে।
গল্প শুরু হয় আর্কটিকে, যেখানে USS Trepang, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন, নিয়মিত অনুশীলন করছিল। নাবিকরা, যারা বিশাল জল ও বরফের বিস্তৃত এলাকায় অভ্যস্ত, তারা কিছু অস্বাভাবিক পাওয়ার আশা করেনি।
কিন্তু হঠাৎ, ঝাঁপ! একাধিক অজানা বস্তু আকাশে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়। এই সাক্ষাৎকারটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে ক্রু দ্বারা তোলা ছবিগুলো। আমরা ঝাপসা ছবি বা লেন্সে দাগের কথা বলছি না।
না, আমার বন্ধু, এই ছবিগুলোতে স্পষ্ট আকৃতির বস্তু দেখা যায় যা যুক্তিবিদ্যার বিরুদ্ধে যায়।
বস্তুগুলো আকৃতি ও আকারে ভিন্ন, লম্বাটে কাঠামো থেকে শুরু করে যা মনে হয় উড়ন্ত থালা। হয়তো এগুলো মহাকাশযান, অথবা হয়তো আবহাওয়া বেলুন, কে জানে।
সত্যি কথা হলো এই ছবিগুলো অনেককে হতবাক করে দিয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন এগুলো হতে পারে অত্যন্ত গোপন সামরিক প্রমাণাদি, আবার অন্যরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এগুলো এলিয়েন প্রযুক্তি। তুমি কী মনে কর?
সবচেয়ে কৌতূহলজনক বিষয় হলো, ছবিগুলোর স্পষ্টতা সত্ত্বেও, মার্কিন নৌবাহিনী এই ঘটনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। তারা কি বলার চেয়ে বেশি জানে? নাকি তারা শুধু আমাদের কল্পনাকে কাজ করতে দিতে চায়?
যাই হোক উত্তর যা-ই হোক, রহস্যটি জীবিত আছে, তত্ত্ব ও ষড়যন্ত্রকে পুষ্ট করছে।
উত্তেজনায় ভেসে যাওয়া সহজ এবং ভাবা যায় আমরা বহির্জীবনের অপরিহার্য প্রমাণের সামনে আছি। কিন্তু অবশ্যই, সবসময় এমন সম্ভাবনা থাকে যে এর একটি আরও পৃথিবীবান্ধব ব্যাখ্যা থাকতে পারে। হয়তো এগুলো ছিল পরীক্ষামূলক বিমান বা এমন বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা যা আমরা এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। যাই হোক, ধাঁধাটি অব্যাহত রয়েছে এবং এটি একটি আকর্ষণীয় আলোচনার বিষয়।
তাই, পরবর্তী বার যখন তুমি আকাশের দিকে তাকাবে, USS Trepang-এর অবিশ্বাস্য ছবিগুলো মনে রেখো। তুমি যদি সবুজ মানুষদের বিশ্বাস করো বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বিশ্বাস করো না কেন, এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে মহাবিশ্ব বিস্ময়ে পূর্ণ।
আর কে জানে, হয়তো একদিন আমরা এই রহস্যময় বস্তুগুলোর পেছনের সত্য উদঘাটন করব। ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকো স্বপ্ন দেখতে এবং অনুসন্ধান করতে, কারণ আকাশই সীমা, তাই না?
বিনামূল্যে সাপ্তাহিক রাশিফল সাবস্ক্রাইব করুন
কন্যা কর্কট কুম্ভ তুলা ধনু বৃশ্চিক বৃষ মকর মিথুন মীন মেষ সিংহ