সূচিপত্র
- তৃতীয় বয়সে ক্লান্তি? না, এটা “তুমি বড় হয়ে গেছ” বলে নয় 😒
- ক্লান্তি বনাম স্বাভাবিক ক্লান্তি: এগুলো একই নয় 😴
- সবচেয়ে সাধারণ কারণসমূহ: এটা শুধু “আলস্য” নয়
- যখন ক্লান্তি আসে মন থেকে: বিষণ্নতা, একাকীত্ব ও হতাশা 🧠
- আমি আমার রোগীদের সঙ্গে যা কাজ করি: ব্যবহারিক কৌশল 💪
- ডাক্তার দেখানোর সময়: “আর দেরি করবেন না” সংকেত 🚨
তৃতীয় বয়সে ক্লান্তি? না, এটা “তুমি বড় হয়ে গেছ” বলে নয় 😒
আমি সরাসরি মূল কথায় আসছি:
তৃতীয় বয়সে স্থায়ী ক্লান্তি স্বাভাবিক নয়.
আমরা একসাথে বলি:
এটা স্বাভাবিক নয়।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক-এর জেরিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞরা এটিতে জোর দেন। অনেক বয়স্ক মানুষ মনে করেন যে ক্লান্ত থাকা বয়স বাড়ার স্বাভাবিক অংশ, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই ক্লান্তিকে একটি
প্রাথমিক সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখেন যে কিছু ঠিক নেই এবং আপনাকে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে হবে।
মনোবৈজ্ঞানিক পরামর্শে এবং বয়স্কদের সঙ্গে আলাপচারিতায় আমি প্রায়শই শুনি:
- “বয়সের কারণেই, আমি আর কিছুই করতে পারি না”
- “আগে বাজারে হাঁটতাম, এখন দুই ধাপ উঠলেই মারা যাই”
- “বিছানা গুছানোর জন্যও শক্তি নেই”
যখন কেউ আমাকে এসব বলে, আমি তা এড়াই না।
আমি বুঝাই যে শরীর কথা বলে। এবং কখনো কখনো চিৎকার করে। আর স্থায়ী ক্লান্তি একটি স্পষ্ট চিৎকার। 📢
ক্লান্তি বনাম স্বাভাবিক ক্লান্তি: এগুলো একই নয় 😴
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের একজন সুপরিচিত জেরিয়াট্রিস্ট, ডঃ আরদেশির হাশমি, একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তুলে ধরেছেন যা আমি আমার রোগীদের মধ্যেও দেখি:
- নির্দিষ্ট কোনো কাজের পর হয়: পরিষ্কার করা, অনেক হাঁটা, ব্যায়াম করা
- বিশ্রাম, ভালো ঘুম বা শান্ত একটি দিনে উন্নতি হয়
- অধিকাংশ দিন আপনার রুটিন চালাতে বাধা দেয় না
- সত্যিকারের ক্লান্তি (যা উদ্বেগজনক):
- বিশ্রামে চলে না
- কখনো কখনো দিন দিন খারাপ হয়
- বিশেষ কিছু না করেও হয়
- সাধারণ কাজ করার ইচ্ছা ও শক্তি নষ্ট করে:
- ডিশওয়াশার খালি করা
- ছোট হাঁটা
- বিছানা গুছানো
- গোসল বা পোশাক পরা
ডঃ হাশমি সংক্ষেপে বলেন:
মন উৎসাহিত থাকলেও শরীর সাড়া দেয় না.
আপনি কাজ করতে চান, কিন্তু শক্তি মাঝপথে শেষ হয়ে যায়।
আমি সরাসরি প্রশ্ন করি:
আপনি কি এত ক্লান্ত হন যে আগে যেসব কাজ করতেন যেমন বাইরে যাওয়া, হাঁটা বা সামাজিক হওয়া, সেগুলো এড়াতে শুরু করেন?
যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে এটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।
সবচেয়ে সাধারণ কারণসমূহ: এটা শুধু “আলস্য” নয়
বয়স্কদের ক্লান্তির প্রায়শই একক কারণ থাকে না।
আমি ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকে উল্লেখিত এবং নিজের অভিজ্ঞতায় দেখা সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো বলছি:
- ১. দীর্ঘস্থায়ী পানিশূন্যতা 💧
অনেক বয়স্ক মানুষ কম পানি পান করেন কারণ:
- তেমন তৃষ্ণা অনুভব করেন না
- বেশি প্রস্রাবের ভয় পান
- রাতে উঠতে চান না
ফলাফল: রক্তের পরিমাণ কমে যায়, অক্সিজেন কম প্রবাহিত হয়, দুর্বলতা ও বিভ্রান্তি বাড়ে।
আমি এমন রোগী দেখেছি যারা “ডিমেনশিয়ার শুরু” মনে করতেন কিন্তু শুধু ভালোভাবে হাইড্রেট হওয়ার প্রয়োজন ছিল। অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্য।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক-এর তথ্য অনুযায়ী,
দীর্ঘস্থায়ী রোগযুক্ত বয়স্কদের ৭৪% পর্যন্ত ক্লান্তির কথা জানান।
এই রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ক্যান্সার
- পারকিনসন
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
- হৃদরোগ
- ইপিওসি (ফুসফুসের রোগ)
- ডায়াবেটিস
শরীর এই রোগগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি ব্যয় করে, যা অবিরাম ক্লান্তির অনুভূতি দেয়।
কখনো কখনো সমস্যা রোগ নয়, ওষুধের সংমিশ্রণ:
- রক্তচাপ কমানোর ওষুধ
- ঘুমানোর ট্যাবলেট
- কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট
- অ্যালার্জির ওষুধ
আমার সাথে এমন হয়েছে: একজন রোগী এসে বললেন “আমি মরছি” এবং ডাক্তার তার ওষুধ পর্যালোচনা করে ডোজ সামঞ্জস্য করলে কয়েক সপ্তাহে শক্তি বেড়ে যায়।
- স্লিপ অ্যাপনিয়া (ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হওয়া)
- দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা
- ঘুমিয়ে পড়লেও বিশ্রাম না পাওয়া
খারাপ ঘুম মস্তিষ্ক ও শরীরকে ক্লান্ত করে।
আমি এমন মানুষ দেখেছি যারা টেলিভিশনের সামনে ঘুমিয়ে পড়েন কিন্তু উঠলে আরও ক্লান্ত বোধ করেন।
- ৫. হরমোন পরিবর্তন: থাইরয়েড ও যৌন হরমোন 🔄
এখানে অনেকেই অবাক হন।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে থাইরয়েড ও যৌন হরমোন পরিবর্তিত হয় এবং শক্তি কমিয়ে দিতে পারে:
-
হাইপোথাইরয়েডিজম: ধীর মেটাবলিজম, ঠান্ডা লাগা, শুষ্ক ত্বক, ওজন বৃদ্ধি, ক্লান্তি
-
হাইপারথাইরয়েডিজম: নার্ভাসনেস, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, ওজন কমা, তবুও ক্লান্তি
-
ইস্ট্রোজেন বা টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়া: কম শক্তি, মেজাজ পরিবর্তন, খারাপ ঘুম, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া
ডঃ হাশমি বলেন হরমোন শরীরের অনেক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
যখন এগুলো ভারসাম্যহীন হয়, শক্তি ডমিনোর মতো পড়ে যায়।
- ৬. অ্যানিমিয়া ও লোহিত রক্তকণিকার অভাব 🩸
অ্যানিমিয়া লোহিত রক্তকণিকা ও অক্সিজেন পরিবহন কমিয়ে দেয়।
ক্লান্তি সাধারণত
প্রথম লক্ষণ।
অন্য লক্ষণসমূহ:
- উঠলে মাথা ঘোরা
- হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্ত্র পরিবর্তন
- প্রস্রাব অস্বাভাবিক গাঢ় রঙের হওয়া
- সামান্য পরিশ্রমেও শ্বাসকষ্ট
আপনি যদি এগুলো লক্ষ্য করেন এবং সবসময় ক্লান্ত থাকেন, রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত।
- ৭. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহভাজন
- ভিটামিন B12 এর অভাব
- হৃদরোগজনিত দুর্বলতা
- জ্বর ছাড়া সংক্রমণ (প্রস্রাব, ফুসফুস)
- সঠিকভাবে না সেরে যাওয়া সর্দি
সারাংশ:
ক্লান্তি একটি লক্ষণ, শুধুমাত্র একটি ছোট সমস্যা নয়.
শরীর আপনাকে সতর্ক করছে।
যখন ক্লান্তি আসে মন থেকে: বিষণ্নতা, একাকীত্ব ও হতাশা 🧠
একজন মনোবিজ্ঞানী হিসেবে আমি সরাসরি বলছি:
তৃতীয় বয়সে বিষণ্নতা প্রায়শই ক্লান্তির আড়ালে থাকে।
অনেক বয়স্ক মানুষ “আমি দুঃখিত” বলে না, তারা বলে:
- “আমার ইচ্ছা নেই”
- “শরীর ভারী লাগে”
- “কিছু করতে চাই না”
- “সবকিছুতেই ক্লান্ত লাগে”
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেন:
অস্বাভাবিক বিষণ্নতায় আপনি কাঁদতে নাও পারেন বা গভীর দুঃখ অনুভব নাও করতে পারেন… কিন্তু আপনি
সবসময়ই ক্লান্ত থাকেন।
এছাড়াও,
একাকীত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতাও ক্লান্তিতে পরিণত হয়।
মস্তিষ্ক সংযোগ, আলাপচারিতা ও স্পর্শ প্রয়োজন।
এগুলো ছাড়া এটি “ব্যাটারি কম” মোডে চলে যায়।
আমি ব্যক্তিগত কিছু প্রশ্ন করি (সত্যিই উত্তর দিন):
- দিনে কত ঘণ্টা আপনি চুপচাপ থাকেন কারো সঙ্গে কথা না বলে?
- আপনার কি কারো সঙ্গে উদ্বেগ বা ভয় ভাগাভাগি করার আছে?
- আপনি সপ্তাহে কয়বার বাড়ির বাইরে যান বা প্রায় কখনোই যান না?
বয়স্কদের সঙ্গে অনেক মোটিভেশনাল আলাপে আমি অবাক করা পরিবর্তন দেখেছি যখন তারা সংগঠিত হয়:
- ছোট হাঁটার গ্রুপ
- বোর্ড গেম সন্ধ্যা
- পাঠচক্র
আবেগগত শক্তি শারীরিক শক্তিতে অনেক প্রভাব ফেলে।
এটাকে হালকাভাবে নেবেন না। ❤️
আমি আমার রোগীদের সঙ্গে যা কাজ করি: ব্যবহারিক কৌশল 💪
যখন কেউ আমাকে বলে “আমি সবসময় ক্লান্ত”, আমি সবচেয়ে বেশি যা পরামর্শ দিই তা শেয়ার করছি।
১. নিজের স্বাভাবিক অবস্থা শুনুন
প্রত্যেকেই নিজের “স্বাভাবিক” জানেন।
আমি তাদের এই প্রশ্নগুলো করতে বলি:
- কখন থেকে এই ক্লান্তি অনুভব করছেন?
- দিন দিন খারাপ হচ্ছে নাকি একই রকম আছে?
- এটা কি আপনাকে আগে করা কাজ থেকে বিরত রাখছে?
যদি উত্তর হয় “ধীরে ধীরে কম করছি” বা “আগে পারতাম এখন পারছি না”, তাহলে সতর্ক হওয়া উচিত।
২. ক্লান্তির সঙ্গে থাকা লক্ষণগুলো লক্ষ্য করুন
ক্লান্তি খুব কমই একা আসে।
যদি যোগ হয়:
- শ্বাসকষ্ট
- মাথা ঘোরা উঠলে
- হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি
- পাচনতন্ত্র বা প্রস্রাবের পরিবর্তন
- গাঢ় বা অস্বাভাবিক প্রস্রাব
- ঘুম বা মেজাজ পরিবর্তন
- আগের মতো আগ্রহ হারানো
রোগীরা এক বা দুই সপ্তাহ এই লক্ষণগুলো নোট করলে ডাক্তার সঠিক নির্ণয়ে সাহায্য পায়।
৩. ভালোভাবে জল পান করুন এবং খাওয়ার যত্ন নিন, সত্যিই
শুধু বলা যথেষ্ট নয় “হ্যাঁ, আমি পানি খাই”।
আমি পরামর্শ দিই:
- হাতে একটি বোতল রাখুন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: সকালে ২–৩ গ্লাস, বিকেলে ২–৩ গ্লাস
- লোহিত খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করুন: মসুর ডাল, পালং শাক, পাতলা মাংস
- ক্ষুধা না থাকলেও খাবার বাদ দেবেন না
একজন ৭৮ বছর বয়সী রোগী খুব ক্লান্ত হয়ে এসেছিলেন। তিনি সকাল ১১টায় খেতেন এবং রাত পর্যন্ত প্রায় কিছুই খাননি। সময়সূচী ঠিক করে এবং হাইড্রেশন উন্নত করলে দুই সপ্তাহে তার শক্তিতে পরিবর্তন এল। সব সমস্যার সমাধান হয়নি কিন্তু অনেক উন্নতি হলো।
৪. প্রতিদিন একটু চলাফেরা করুন 🚶♀️🚶♂️
বড় ভুল: “আমি ক্লান্ত তাই চলছি না”।
চলাফেরা না করলে পেশী দুর্বল হয় এবং আপনি আরও ক্লান্ত হন। এটি একটি দোষচক্র।
আমি পরামর্শ দিই:
- নিয়মিত ছোট হাঁটা
- নরম ব্যান্ড দিয়ে শক্তির ব্যায়াম
- একটি চেয়ারে ধরে পায়ের আঙুল দিয়ে ওঠানামা করা
- সকালে এবং ঘুমানোর আগে নরম স্ট্রেচিং
শরীর, এমনকি বয়স্ক হলেও, নিয়মিত এবং মাঝারি গতির চলাফেরায় ভালো সাড়া দেয়।
৫. আপনার আবেগগত রুটিন পর্যালোচনা করুন
আমি অনেক প্রশ্ন করি:
- এখন কী আপনাকে উচ্ছ্বসিত করে?
- কোন ছোট কাজটি আপনি সত্যিই উপভোগ করেন?
- শেষবার কখন সত্যিই হাসলেন?
শক্তি শুধু খাবার ও ঘুম থেকে আসে না।
এটি প্রকল্প, সম্পর্ক এবং ছোট আনন্দ থেকে আসে।
এখানে আমার জ্যোতিষী দিক আসে 😉:
আমি সবসময় বলি জীবনীশক্তি আপনার জন্মপত্রিকার মতো: যদি আপনি এটিকে এমন কিছুতে প্রবাহিত না করেন যা আপনাকে উৎসাহিত করে, এটি আটকে যায়।
আর যখন শক্তি আটকে যায়, ক্লান্তি পুরো জায়গা দখল করে ফেলে।
ডাক্তার দেখানোর সময়: “আর দেরি করবেন না” সংকেত 🚨
আমি স্পষ্টভাবে বলছি:
যদি ক্লান্তি আপনার দৈনন্দিন জীবন বদলে দেয়, তাহলে চিকিৎসকের মূল্যায়ন দরকার।
“দেখবো নিজে ঠিক হয়ে যায় কিনা” অপেক্ষা করবেন না।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
পেশাদার সাহায্য নিন যদি:
- গত কয়েক মাসে আপনার শক্তির মাত্রা স্পষ্টভাবে কমেছে
- আগে সহজে করা কাজ এখন কঠিন লাগে
- সামান্য পরিশ্রমেও শ্বাসকষ্ট হয়
- উঠলে মাথা ঘোরে বা হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়
- অজানা কারণে ওজন পরিবর্তন হয়েছে
- মেজাজ খারাপ, নিজেকে আলাদা করে ফেলছেন বা আগ্রহ হারিয়েছেন যা আগে পছন্দ করতেন
- ঘুম খারাপ হয়েছে (বারবার জাগেন, জোরে ঘুমান, উঠলে আরও ক্লান্ত)
আপনার ডাক্তারকে এসব জানালে আপনার জীবনমানে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।
অনেক বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় (অ্যানিমিয়া, থাইরয়েড, বিষণ্নতা, অ্যাপনিয়া, ওষুধের প্রভাব…) করলে প্রাণশক্তি ফিরে আসে। কখনো ২০ বছরের মতো নয়, তবে অনেক ভালো হয় যা তারা কল্পনা করেননি।
এবং আমি চাই আপনি এই শেষ ভাবনাটি মনে রাখুন:
সবসময় ক্লান্ত থাকা আপনার ভাগ্য নয়, এটি একটি বার্তা।
এটি উপেক্ষা করবেন না। শুনুন, অনুসন্ধান করুন, সাহায্য নিন।
আপনার শরীর আপনাকে শাস্তি দেয় না, সতর্ক করে।
আর আপনি সর্বোচ্চ শক্তি ও মর্যাদার সঙ্গে তৃতীয় বয়সে পৌঁছানোর যোগ্য। 💫
বিনামূল্যে সাপ্তাহিক রাশিফল সাবস্ক্রাইব করুন
কন্যা কর্কট কুম্ভ তুলা ধনু বৃশ্চিক বৃষ মকর মিথুন মীন মেষ সিংহ