সূচিপত্র
- রেফ্রিজারেশন: সবসময় উপযুক্ত নয় এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি
- ঠান্ডায় মান হারানো খাবার
- অন্যান্য পণ্যের জন্য সংরক্ষণের বিকল্প
- রেফ্রিজারেটরের ব্যবহার সর্বোত্তমকরণ
রেফ্রিজারেশন: সবসময় উপযুক্ত নয় এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি
রেফ্রিজারেটরের দরজা খোলা এবং যেকোনো খাবার ভিতরে রাখা একটি সাধারণ অভ্যাস, কিন্তু সবসময় সবচেয়ে উপযুক্ত নয়। যদিও ঠান্ডা অনেক পণ্যের জীবনকাল বাড়াতে কার্যকর, সব খাবারই রেফ্রিজারেশনের সুবিধা পায় না।
প্রকৃতপক্ষে, কিছু খাবারের স্বাদ, টেক্সচার এবং সতেজতায় পরিবর্তন আসতে পারে, যা খাদ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে থাকেন।
ঠান্ডায় মান হারানো খাবার
রুটি, বিশেষ করে স্লাইস করা রুটি, এমন একটি খাবারের ক্লাসিক উদাহরণ যা রেফ্রিজারেশনের সুবিধা পায় না।
তার সতেজতা বজায় রাখার পরিবর্তে, রুটি শক্ত হয়ে যায় এবং রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডা পরিবেশে জমে থাকা আর্দ্রতার কারণে তার স্বাভাবিক স্বাদ হারিয়ে ফেলে।
এটি ভালো অবস্থায় রাখতে, রুটিকে কক্ষ তাপমাত্রায়, কাগজ বা পরিষ্কার কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি এর জীবনকাল বাড়াতে চান, তবে ফ্রিজিং একটি বেশি কার্যকর বিকল্প।
আরেকটি পণ্য যা রেফ্রিজারেটরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হলো চকোলেট। ঠান্ডা চর্বির ইমালশনকে পরিবর্তিত করতে পারে, যার ফলে এটি সাদা রঙের হয়ে যায় এবং দানাদার টেক্সচার ধারণ করে।
এর গুণগত মান বজায় রাখতে, এটি একটি ঠান্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখা উচিত, যেখানে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে, এবং এর মূল প্যাকেজিং বা একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা উচিত।
অন্যান্য পণ্যের জন্য সংরক্ষণের বিকল্প
রসুন আরেকটি খাবার যা রেফ্রিজারেটরে রাখা উচিত নয়। এতে তারা অঙ্কুরোদ্গম হয়, যার ফলে তার তিক্ত স্বাদ বাড়ে। রসুন সংরক্ষণের সেরা উপায় হলো একটি ঠান্ডা স্থানে রাখা, প্রায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, এবং আলুর থেকে দূরে রাখা, কারণ উভয়ই গ্যাস নির্গত করে যা অঙ্কুরোদ্গম দ্রুত করে। দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের জন্য, এগুলো জলপাই তেলে রাখতে বা ফ্রিজে জমিয়ে রাখতে পারেন।
কলা, বিশেষ করে যখন সবুজ থাকে, ঠান্ডায় খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখায়। রেফ্রিজারেশন তাদের পাকা ধীর করে দেয়, স্বাদে প্রভাব ফেলে এবং খোসাকে কালো করে তোলে। সঠিক পাকা জন্য, এগুলো কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা উচিত এবং আপেল থেকে দূরে রাখতে হবে, কারণ আপেল ইথিলিন নির্গত করে যা পাকা দ্রুত করে।
যেসব খাবার স্বাস্থ্যকর মনে হয়, কিন্তু তা নয়
রেফ্রিজারেটরের ব্যবহার সর্বোত্তমকরণ
রেফ্রিজারেটরের খাবারগুলি সর্বোত্তম অবস্থায় রাখতে, এর সংগঠন এবং সংরক্ষণে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা খাবার এবং রান্না করা খাবার আলাদা রাখা ক্রস-কন্টামিনেশন প্রতিরোধে অপরিহার্য।
রান্না করা খাবারগুলি বন্ধ পাত্রে উপরের তাকগুলোতে রাখা উচিত, আর মাংস ও মাছ নিচের তাকেই রাখা উচিত, যা রেফ্রিজারেটরের সবচেয়ে ঠান্ডা অংশ।
নিচের ড্রয়ারগুলো ফল ও সবজির জন্য আদর্শ, যা সরাসরি ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয় এবং তাদের সতেজতা বজায় রাখে। রেফ্রিজারেটরের দরজায়, যা কম ঠান্ডা অংশ, পানীয়, সস এবং মশলা রাখা ভালো।
অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির প্রতিরোধ করে এবং খাবারের সংরক্ষণ উন্নত করে। এছাড়াও, নিয়মিত রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করা দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে এবং খাবারের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করে।
বিনামূল্যে সাপ্তাহিক রাশিফল সাবস্ক্রাইব করুন
কন্যা কর্কট কুম্ভ তুলা ধনু বৃশ্চিক বৃষ মকর মিথুন মীন মেষ সিংহ