সূচিপত্র
- ৪০ বছর বয়সে কেন আমরা মনে করি যেন আমরা একটি ম্যারাথন দৌড়িয়েছি?
- বয়স বৃদ্ধি: এটা সরল পথ নয়
- পেশী ও বিপাক
- নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া: একটি সুস্থ জীবনের পথে
৪০ বছর বয়সে কেন আমরা মনে করি যেন আমরা একটি ম্যারাথন দৌড়িয়েছি?
আহা, মধ্যবয়স, সেই জাদুকরী সময় যখন একটি রাতের পার্টি হয়ে যায় এক সপ্তাহের অনুশোচনা। তুমি কি কখনও ভেবেছো কেন ৪০ বছর বয়সে পৌঁছানোর পর হঠাৎ সকালে উঠতে একটি নির্দেশিকা দরকার হয়? বিজ্ঞান এর একটা উত্তর দিয়েছে, এবং না, এটা শুধু কফির অভাব নয়।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীর আরাম পাওয়ার জন্য একটু ধীর হয়ে যায়। যেন আমাদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার "সুপারপাওয়ার" ছুটি নিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এটাকে "জৈবিক স্থিতিস্থাপকতা" বলে, অর্থাৎ জীবনের অসুস্থতা থেকে পুনরুদ্ধারের আমাদের শরীরের ক্ষমতা। কিন্তু, যেমন সেই গাছটিকে তুমি জল দিতে ভুলে গেছো, সময়ের সাথে সাথে এই স্থিতিস্থাপকতাও ম্লান হয়ে যায়।
বয়স বৃদ্ধি: এটা সরল পথ নয়
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আমাদের একটি বিস্ময় দেয়: আমরা ধারাবাহিকভাবে বয়স বাড়াই না। অবাক হও! আমরা পর্যায়ক্রমে বয়স বাড়াই। বয়স বৃদ্ধিকে কল্পনা করো একটি রোলার কোস্টারের মতো, হঠাৎ ওঠানামা সহ। এবং একটু উত্তেজনা যোগ করতে, বড় পতন ঘটে ৪৪ এবং ৬০ বছর বয়সের কাছাকাছি।
গবেষকরা হাজার হাজার মানুষ বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অণু ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয় না, বরং জীবনের ঐ মুহূর্তগুলোতে হঠাৎ বড় পরিবর্তন ঘটে। তাই যদি তুমি ৪৪ বছর বয়সে মনে করো যেন তোমার শরীর অন্য কোনো কিছুতে বদলে গেছে, তাহলে সেটা সত্যিই এমনটাই!
পেশী ও বিপাক
পেশীর ভর হারানো একটি গুরুতর বিষয়। ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে, আমাদের পেশী উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, আর চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। এটা শুধু আমাদের আকৃতিকে প্রভাবিত করে না, আমাদের চলাফেরা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। সম্প্রতি কি তুমি ছায়ার সাথে ঠোক্কর খেয়েছো? এখন তুমি জানো কেন।
ডা. সারা নোসাল আমাদের ব্যাখ্যা করেন যে এই পরিবর্তন শুধু আমাদের খাদ্যাভ্যাস সামঞ্জস্য করতে বাধ্য করে না, বরং আমাদের জল ধারণ ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। তাই যদি তুমি অনুভব করো যে তোমার শরীর থেকে পানি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে যেন একটি শিশুর হাতে কুকি, তুমি একা নও।
নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া: একটি সুস্থ জীবনের পথে
সৌভাগ্যক্রমে, সবকিছুই নিচের দিকে নয়। বয়স বৃদ্ধির মোকাবিলায় চাবিকাঠি হলো সুস্থ অভ্যাস বজায় রাখা। ভালো খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম এই জৈবিক স্থিতিস্থাপকতাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা আমাদের বন্ধু হয়ে ওঠে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য আমাদের মূল্যবান কোষগুলোকে রক্ষা করে।
আরও, চাপ শুধু আমাদের গল্পের খলনায়ক নয়। কিছুটা শারীরিক চাপ, যেমন ব্যায়াম, আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারে। পরবর্তী বার যখন চাপ তোমাকে অভিভূত করবে, মনে রেখো একটু শারীরিক কার্যকলাপ পার্থক্য গড়ে তুলতে পারে।
সুতরাং সংক্ষেপে, যদিও আমরা ঘড়ির কাঁটা থামাতে পারি না, আমরা প্রতিটি মুহূর্তকে মূল্যবান করে তুলতে পারি। জীবন উপভোগ করো এবং তার ওঠানামা সহ যাত্রাটি উপভোগ করো!
বিনামূল্যে সাপ্তাহিক রাশিফল সাবস্ক্রাইব করুন
কন্যা কর্কট কুম্ভ তুলা ধনু বৃশ্চিক বৃষ মকর মিথুন মীন মেষ সিংহ