সূচিপত্র
- স্ক্রিনের দ্বিধা: আমাদের চোখের বন্ধু না শত্রু?
- মায়োপিয়ার নীরব মহামারি
- সমাধান? বাইরে খেলতে যাও!
- একটি কম ঝাপসা ভবিষ্যত
স্ক্রিনের দ্বিধা: আমাদের চোখের বন্ধু না শত্রু?
আহ, মায়োপিয়া, সেই পুরনো পরিচিতি যা যেন আমাদের প্রিয় ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর মধ্যে তার নিখুঁত সঙ্গী খুঁজে পেয়েছে। এটা কোনো মজা নয়। প্রতিটি মিনিট আমরা যখন মোবাইল, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে কাটাই, দূর থেকে ঝাপসা দেখার ঝুঁকি বাড়ে। এবং না, এটা কোনো অতিরঞ্জন নয়।
কোরিয়ার ৩৩৫,০০০ জনের ফলাফল বিশ্লেষণ করা একটি গবেষণা, যা সম্প্রতি JAMA Open Network-এ প্রকাশিত হয়েছে, আমাদের দৃষ্টির ভবিষ্যতের একটি ভয়ঙ্কর ঝলক দেখিয়েছে। স্পয়লার: ভালো কিছু নয়। দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র এক ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে থাকলেই মায়োপিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবং প্রতি অতিরিক্ত ঘণ্টায় ঝুঁকি ২১% বৃদ্ধি পায়। এখনই চশমা ধরো!
মায়োপিয়ার নীরব মহামারি
মায়োপিয়া, সেই রোগ যা তোমার কুকুরটিকে দূর থেকে একটি ধূমকেতুর মতো দেখায়, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫০% জনসংখ্যাকে আঘাত করতে পারে। হ্যাঁ, তুমি ঠিক পড়েছো, পৃথিবীর অর্ধেক! এর জন্য দায়ী আমাদের প্রিয় স্ক্রিন এবং প্রাকৃতিক আলোয়ের অভাব। শেষবার কখন তুমি সূর্যের আলো উপভোগ করতে বাইরে গিয়েছিলে? ঠিক তাই, মনে নেই।
চোখের বিশেষজ্ঞ ডক্টর জার্মান বিয়াঙ্কি, যিনি এই ডিভাইসগুলোর সাথে ধৈর্যের জন্য প্রশংসার যোগ্য, সতর্ক করেছেন যে দীর্ঘ সময় ধরে কাছাকাছি দেখার কাজ বিরতি ছাড়া করলে সরাসরি মায়োপিয়ার পথে নিয়ে যায়। তিনি যে সমাধান দিয়েছেন তা সহজ: ২০-২০-২০ নিয়ম। প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ৬ মিটার দূরের কিছু দেখো। এটাই যথেষ্ট। এটা কি অনেক চাওয়া?
সমাধান? বাইরে খেলতে যাও!
এই দৃষ্টিশক্তি মহামারীর সমাধান আমাদের হাতের নাগালে, বা বরং পায়ের কাছে। প্রতিদিন অন্তত দুই ঘণ্টা বাইরে বের হও এবং সূর্যের আলোকে আমাদের চোখে কাজ করতে দাও। প্রাকৃতিক আলো চোখের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং মায়োপিয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও, বাইরে থাকা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিও করে। কে পিকনিক করতে চায়?
বিশেষ করে ছোটদের জন্য স্ক্রিন সময় সীমাবদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই বাবা-মায়েরা সাহায্যে আসেন। সুপারিশ স্পষ্ট: দুই বছরের নিচের শিশুদের জন্য কোনো স্ক্রিন নয়। হ্যাঁ, এটা চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তোমার সন্তানের দৃষ্টিশক্তি তোমাকে ধন্যবাদ জানাবে।
একটি কম ঝাপসা ভবিষ্যত
বার্তাটি স্পষ্ট। যদি আমরা মায়োপিয়াকে একটি দৃষ্টিশক্তি মহামারীতে পরিণত হতে দিতে না চাই, তাহলে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। স্কুল ও বাড়িতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কেমন হয় যদি ভাল আলোযুক্ত পরিবেশকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং ২০-২০-২০ নিয়ম বাড়ি ও স্কুল উভয় জায়গায় প্রয়োগ করা হয়? নিয়মিত দৃষ্টিপরীক্ষাও ভুলে যেও না: তোমার চোখ তোমাকে কৃতজ্ঞ থাকবে।
সংক্ষেপে, আমরা যতই এই ডিজিটাল যুগে এগিয়ে যাই না কেন, আমাদের দৃষ্টির যত্ন নিতে ভুলে যাব না। দিনের শেষে, স্পষ্ট দেখতে পারা সবসময়ই একটি সুপারপাওয়ার যা রক্ষা করার যোগ্য। সেই চোখগুলোকে রক্ষা করো!
বিনামূল্যে সাপ্তাহিক রাশিফল সাবস্ক্রাইব করুন
কন্যা কর্কট কুম্ভ তুলা ধনু বৃশ্চিক বৃষ মকর মিথুন মীন মেষ সিংহ